ঘরে বসে রেসিপি শেখার পাঁচটি মোবাইল অ্যাপস।

ঘরে বসে রেসিপি শেখার পাঁচটি মোবাইল অ্যাপস।

একটা সময় ছিল, যখন বাড়ির অধিকাংশ রমণীরা রেসিপি শেখার জন্য রান্নার বই কিংবা নোট খাতা ব্যবহার করত। কিন্তু যুগের অবসান ঘটিয়ে এখন এই সবকিছুই হচ্ছে: অনলাইনে। তবে অনলাইনের কল্যাণে রান্না করতে গিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। এ থেকে রেহাই পেতে, আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি। ঘরে বসে রেসিপি শেখার পাঁচটি মোবাইল অ্যাপস। যা ব্যবহারের ফলে নিত্য নতুন রেসিপি এবং আপনার হাতের ক্রিয়েটিভিটি সকল ভোজনরসিকদের মাঝে পৌঁছে দিতে পারবেন।

মূল আর্টিকেলে চলে যাওয়ার আগেই, আপনাদের ছোট্ট একটি সতর্কবার্তা দিয়ে রাখি। আর সেটি হচ্ছে: আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ারকৃত এতগুলোর ভাষা ইংরেজি। আর্টিকেলটি লেখার পূর্বে আমি অনেক ভেবেছি, আপনাদের জন্য যাতে আমি বাংলা রেসিপির অ্যাপস গুলো শেয়ার করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলা ভাষার ভালো কোনো রেসিপির অ্যাপস খুঁজে না পাওয়ায়, এই মোবাইল অ্যাপস গুলো শেয়ার করতে বাধ্য হয়েছি। তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এই অ্যাপস গুলোতে ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। যা দেখে খুব সহজেই আপনার কাঙ্খিত রেসিপি গুলো তৈরি করতে পারবেন। পাশাপাশি এই অ্যাপ গুলো সারা বিশ্বব্যাপী আলোচিত।


নাম্বার ৫: Kitchen Stories
আপনি কি ক্ষুধার্ত?
কিন্তু আপনি চিন্তিত যে, কোন রেসিপিটি এই মুহূর্তে প্রস্তুত করা সম্ভব। এই সমস্যার সমাধান দিবে Kitchen Stories মোবাইল অ্যাপ। যেখানে রয়েছে লক্ষ লক্ষ ভোজন রসিক মানুষ আর প্রতিনিয়ত শেয়ার করছে তাদের তৈরিকৃত মজাদার রেসিপি গুলো। চাইলে আপনিও তাদের মত আপনার তৈরি মজাদার রেসিপি গুলো শেয়ার করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিদিন হাজারখানেক নতুন নতুন রেসিপি দেখা সহ এইচডি ভিডিওর মাধ্যমে step-by-step রান্নার রেসিপি শেখা সম্ভব। যা আপনাকে পরবর্তী সময়ে একজন ভালো মানের রাধুনী তে রূপান্তরিত করবে।



নাম্বার ৪: KptnCook
সময় বাঁচিয়ে আপনার ফ্যামিলির জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ খাবারের নিশ্চয়তা দেবে KptnCook মোবাইল অ্যাপস। এই অ্যাপে সর্বমোট ২৫০০+ রেসিপি থাকায়, খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন আপনার কিংবা ফ্যামিলির পছন্দের খাবারটি। এছাড়াও আগামী এক সপ্তাহের রেসিপি প্লান তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার এবং আপনার ফ্যামিলির জন্য, পুষ্টিকর খাবারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাজ করবে। অ্যাপসটিতে আরো রয়েছে একটি কমিউনিটি, যেখানে প্রায় ৩০ লাখের অধিক মানুষের সমাগম। চাইলে আপনি সেখানেও যোগদান করতে পারেন।


নাম্বার ৩: Yummy Recipes & Cooking Tools
এটি একটি স্মার্ট কিচেন রিলেটেড মোবাইল অ্যাপস। এর সাহায্যে খুব সহজেই খাবার তৈরির প্লান, ব্যাক্তিগত রেসিপি, প্রডাক্ট কেনা সহ রয়েছে আরও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার। অ্যাপসটিতে 30 মিনিটের কম সময়ে যেসব রেসিপি তৈরি করা সম্ভব, সেইসব রেসিপি দিয়েই ভরপুর এই অ্যাপস। বলাবাহুল্য যে, এই অ্যাপসটির অধিকাংশ ইউজার-ই ব্যাচেলার। তাই আপনিও যদি বেচালার হয়ে থাকেন, তাহলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন Yummy Recipes & Cooking Tools মোবাইল অ্যাপসটি। বর্তমানে অ্যাপসটিতে 2 মিলিয়নের বেশি রেসিপি শেখার টিউটোরিয়াল রয়েছে।


নাম্বার ২: Tasty
Tasty পৃথিবীর অন্যতম বড় একটি রেসিপি কমিউনিটি। এখানে তিন হাজারের বেশি রেসিপি টিউটোরিয়াল রয়েছে এবং প্রত্যেকটি রেসিপি তৈরীর সময়, আপনি যেন না ঘুমিয়ে পড়েন এজন্য রয়েছে রিমাইন্ডার সিস্টেম। আপনি জেনে হতবাক হবেন যে, আমেরিকার অধিকাংশ বাড়ির রাধুনী রা রান্না করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আর ঠিক এজন্যই এই অ্যাপে রিমাইন্ডার অপশন দেয়া হয়েছে। অ্যাপসটির সবথেকে বড় যে সুবিধাটি আপনি ভোগ করতে পারবেন সেটি হচ্ছে: সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কোন ইভেন্টে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত বা সুবিধাজনক হবে, তা অটোমেটিকলি রিকমেন্ডেশন করে।
তাই, আপনি যদি একজন ট্রেন্ডবাজের সাথে সাথে ভোজন রসিক প্রেমিক হয়ে থাকেন। তাহলে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। আশাকরছি খারাপ লাগবে না..!




নাম্বার ১: Coockpad
এটি আমাদের লিস্টে থাকা প্রথম রেসিপি ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপস। যদিও এর কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রথম স্থান দখল করে বসে রয়েছেন। এই যেমন ধরুন; এই অ্যাপ ব্যবহার করে রেসিপি শেখার পাশাপাশি নিজের তৈরি রেসিপি আপলোড, নির্দিষ্ট রেসিপি সম্বন্ধে নানান তথ্য, এবং অন্যদের রান্নার অভিজ্ঞতার গল্প শোনা সহ রয়েছে রেসিপির টিপস এন্ড ট্রিকস শেখার উপায়। এপসটি আপনাকে আপনার পরিবারের সকল মেম্বারদের চাহিদার উপর নির্ভর করে, রেসিপি তৈরি করতে সহযোগিতা করবে। যেমন: নিরামিষ, দুগ্ধ-মুক্ত, গ্লুটেন-মুক্ত বা কেটো। মানে আপনি যে রেসিপিগুলি চান, তা সহজে খুঁজে পেতে এই অ্যাপে রয়েছে ফিল্টার এর ব্যাবহার।


শেষ কথা: 
রান্না করা একটি আর্ট, এটি কখনোই টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে দেখে বাস্তবে করা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই করা সম্ভব কিছু কিছু রেসিপি বা রান্না। তাই অনুরোধ থাকবে রান্না করার পূর্বে অবশ্যই পেশাদার পরামর্শ নিন। ধন্যবাদ
Previous Post Next Post