আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন পাঠকগণ? আশা করছি, মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আপনারা খুবই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি, পৃথিবীর যেকোন ভাষাকে নিজের ভাষায় রূপান্তরিত করার চমকপ্রদক একটি মোবাইল অ্যাপ।
অ্যাপসটির নাম হলো: Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট কি?
গুগল ট্রান্সলেট হলো: গুগলের একটি বিনামূল্যে বহুভাষিক Neural Machine বা Translation services. যেটি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারে । ২০২০ সালের তথ্য অনুুুযায়ী, গুগল ট্রান্সলেট বর্তমানে ১০৯টি ভাষা বিভিন্নভাবে অনুবাদ করতে পারে। এছাড়াও গুগল ট্রান্সলেট দ্বারা শব্দ, বাক্য, ছবির লেখা এবং ওয়েব অনুবাদ করা সম্ভব। গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে যেমন: অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ওয়েব, এপিআই এবং ব্রাউজার এক্সটেনশন। জনপ্রিয় এই ট্রানসলেশন সার্ভিস টি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউজারের ১০০ বিলিয়ন শব্দ অনুবাদ করে। বর্তমানে যতগুলো ট্রান্সলেশন সার্ভিস রয়েছে, তাদের মধ্যে “গুগল ট্রান্সলেট” অন্যতম। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন অনেকটাই সহজ করে তুলেছে গুগল ট্রান্সলেট।
আরো পড়ুন: গুগল ক্লাসরুম যেভাবে ব্যবহার করবেন।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট যেভাবে ব্যাবহার করবেন:
• প্রথমে অ্যাপ স্টোর কিংবা প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন “গুগল ট্রান্সলেট” অ্যাপস টি।
• এরপর গুগল ট্রান্সলেট এপসটি ওপেন করুন এবং Primary Language এবং Translate Language সিলেক্ট করে “Done” বাটনে ক্লিক করুন।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট এর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা সমূহ:
• যেকোনো ওপেনকৃত অ্যাপস এর ভিতর বসেই, শুধুমাত্র ১ক্লিকে যেকোন ভাষা নিজের ভাষায় ট্রান্সলেট করার সুবিধা।
• গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপের মধ্যে থাকা ক্যামেরা ব্যবহার করে, যেকোনো বস্তুর সঙ্গে থাকা লেখাকে ট্রান্সলেট করার সুবিধা। যেমন: বই, বিলবোর্ড, রাস্তার ধারে টাঙ্গানো সতর্কীকরণ বার্তা ইত্যাদি।
• নির্দিষ্ট লেখাকে নিজের ভাষায় ট্রান্সলেট করার জন্য, বাড়তি কোনো ডেটা চার্জের ঝামেলা নেই। তবে এই কাজটি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে Primary Language এবং Translate Language ডাউনলোড করে নিতে হবে।
• হাত যুক্ত কথোপকথন এর সময় মুখের বলা ভাষা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত করার সুবিধা। এর ফলে আপনি যেকোন ভাষার মানুষের সঙ্গে, আপনার নিজের ভাষাতেই কথা বলতে পারবেন।
• আঙুলের সাহায্যে যেকোন চিহ্ন বা লেখাকে নিজের ভাষায় ট্রান্সলেট করার সুবিধা।
• ইন্টারনেট ছাড়াই ৫৯ দেশ বা অঞ্চলের ভাষা ট্রান্সলেট করার সুবিধা।
আরো পড়ুন: বিশ্বস্ত চাকরির খবর যেভাবে দেখবেন।
• হ্যান্ড-রাইটিং এর মাধ্যেমে ৯৬ টি দেশ বা অঞ্চলের ভাষা ট্রান্সলেট করার সুবিধা।
• তাৎক্ষণিক ভাবে ক্যামেরার সহযোগিতায় ৯৪টি দেশ বা অঞ্চলের ভাষা ট্রান্সলেট করার সুবিধা।
• গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপস টি তে বাংলা ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, আরবি সহ প্রায় ১০৯ টির মত ভাষা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত করার সুবিধা।
• ট্রান্সলেটকৃত শব্দ বা বাক্য গুলো পছন্দের তালিকায় সংযুক্ত করার সুবিধা। যার ফলে একই শব্দ বা বাক্য দ্বিতীয়বারের মতো ট্রান্সলেট করার ঝামেলা নেই।
• দেশ কিংবা অঞ্চলের ভয়েস পরিবর্তন করার সুবিধা এর পাশাপাশি কথা বলার গতি বাড়ানো বা কমানো সম্ভব। এছাড়াও গুগল ট্রান্সলেট এর রয়েছে আরো বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা, যা একজন সাধারন মানুষের জীবনযাপন কে সহজ করে তুলতে সক্ষম।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট এর খারাপ দিক:
গুগল ট্রান্সলেট এর এখনো পর্যন্ত, কোনো খারাপ দিক খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি বরং ভালো দিকের কারণেই মানুষের কাছে এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, এই ট্রানসলেশন সার্ভিসটি।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট এর ডিজাইন:
ডিজাইনের কথা বলতে গেলে এক কথায় “অসাধারণ” গুগল ট্রান্সলেট এর ডিজাইন দেখে আমি মুগ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ডিজাইন টির সাথে আপনারাও একমত পোষণ করবেন। ডিজাইন টি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, যেকোনো বয়সের মানুষের সঙ্গে সামঞ্জস্যযোগ্য হওয়ার সক্ষমতা রাখে। আর এটার মূল কারণ একটাই, আর সেটা হচ্ছে: Design by Google.
আরো পড়ুন: ঘরে বসে যেভাবে ডাক্তার দেখাবেন।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট এর রেটিং এবং রিভিউ:
বর্তমানে গুগল ট্রান্সলেট এর প্লে ষ্টোর রেটিং রয়েছে 4.5/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়নেরও বেশি। একই সাথে অ্যাপ স্টোরে রেটিং রয়েছে 4.5/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ৬৬ হাজারেরও অধিক।
Google Translate / গুগল ট্রান্সলেট যেভাবে ডাউনলোড করবেন:
এপসটি আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন নিচের দেয়া লিংক থেকে।
( প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর )
[ অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে উপরোক্ত প্ল্যাটফর্মের নামের উপর ক্লিক করুন। ]
শেষ কথা:
গুগল ট্রান্সলেট! বিগত ১৫ বছর যাবৎ গুগলের এই পরিষেবা টি, সাধারণ মানুষের জীবনে অটুট ভূমিকা পালন করেছে। তারই সাথে নিত্য নতুন যোগ করেছে বিভিন্ন দেশ কিংবা অঞ্চলের ভাষা। এর ফলে একজন সাধারণ মানুষ অন্য অঞ্চলের ভাষা না জানার ফলেও, সেই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা তৈরি করেছে।
ধন্যবাদ